করোনা সংক্রমণ বাড়ছে : দুশ্চিন্তায় প্রশাসন , নির্বিকার রাজনৈতিক দলগুলি

21st October 2020 8:27 am বর্ধমান
করোনা সংক্রমণ বাড়ছে : দুশ্চিন্তায় প্রশাসন ,  নির্বিকার রাজনৈতিক দলগুলি


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : সংক্রমণের গ্ৰাফ কিছুটা নিম্মমুখী হলেও ফের বাড়ছে সংক্রমণ । আরো বাড়ার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ‍্য বিভাগ সহ চিকিৎসক মহল । পুজোর পরেই সংক্রমণ এর গ্ৰাফ ঠিক কোথায় গিয়ে হাজির হবে তা নিয়ে ভাবনা চিন্তাও শুরু হয়েছে । একদিনে গোটা রাজ‍্যে চার হাজার ব‍্যক্তির শরীরে সংক্রমণ এর হদিশ মিলেছে । শুরু হয়েছে শারদ উৎসবের মরশুম । আদালতের রায়ে মন্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও রাস্তায় মানুষের ভীড় আটকানো আদৌ সম্ভব কি পুজোর রাত্রে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই । বারবার স্বাস্থ‍্য বিধি মেনে চলার কথা বলা হলেও কার্যত তাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন রাজনৈতিক দলগুলি । তারাই নানা কর্মসূচীতে এক জায়গায় জমায়েত তৈরী করাচ্ছেন ঘন্টার পর ঘন্টা । মাস্ক বিহীন অবস্থায় অধিকাংশ ই । এখানে অবশ‍্য এক ই অবস্থানে রাজ‍্যের শাসকদল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দল । উন্নয়নের প্রশ্নে নানা অশান্তি মতবিরোধ থাকলেও স্বাস্থ‍্য বিধিকে শিকেয় তুলতে দু তরফ ই এক জায়গায় অবস্থান করছেন । কখনো হল ভাড়া করে মিটিং , কখন ও মিছিল আবার কখনো জনসভা । করোনার সংক্রমণ ছড়ানো রোধে প্রশাসনের যখন এত চিন্তা , তখন দিব‍্যি সভা সমিতিতে ভীড় করাচ্ছেন রাজনৈতিক দলগুলি । ইতিমধ‍্যেই রাজনৈতিক দলের বহু শীর্ষ নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । সুস্থ হয়ে ওঠার পরে তারাও আবার স্বাস্থ‍্য বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জমায়েতে অংশ নিচ্ছেন । শুধুমাত্র শহর নয় , গ্ৰামীণ এলাকাতেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে রাজনৈতিক দলগুলির খামখেয়ালি পনার জন‍্য । আগামী বছর রাজ‍্যে বিধানসভা নির্বাচন । করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতায় থাকার জন‍্য চলছে ইঁদুর দৌড় । উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণ করে যে নির্দেশ দিয়েছেন এবার শারদ উৎসবের আয়োজন সম্পর্কে , এক ই ভাবে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচীতেও রাশ টানার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বহুজন । শাসক বিরোধী উভয় দল ই যখন নিয়ম ভাঙছেন তখন সাধারন মানুষ ও তাই করছেন । ভীড় বাজারে , রাস্তায় , হাটে , দোকানে সর্বত্র ! হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস । সকলে যদি সচেতনতার পরিচয় না দেন তার পর কিভাবে আটকানো সম্ভব ? শুধুমাত্র পুলিশ কর্মীদের রাস্তায় নামিয়ে দিলেই তো সমস‍্যার সমাধান হতে পারে না । নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা যে কাজ করছেন প্রতিনিয়ত সেগুলির দিকেও হস্তক্ষেপ কঠোরভাবে জরুরী । রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী পালন বিধির আওতায় থাকা উচিত বলেই অভিমত । যদিও আদৌ যে তা হবার নয় সেটা দিনের পর দিন প্রমাণ করছে রাজনৈতিক দলগুলি । সুতরাং শুধুুমাত্র পুজো আয়োজনে নিয়ন্ত্রণ করে করোনাকে যে ঠেকানো যাবে না তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে । ভবিষ‍্যৎ কি তা সময় ই বলবে ! 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।